জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের বলেছেন, "সাদিক কায়েম ভাই কখনো চাঁদাবাজি করছে বলে আমি শুনি নাই; কিন্তু তিনি শুধু ক্ষমতার হিস্যাটাই চেয়েছেন। অভ্যুত্থানে তাঁদের অবদান, ত্যাগ অনুযায়ী হিস্যা বুঝে পেতে চেয়েছেন। সব সমস্যার মূল হচ্ছে এই 'যথাযথ হিস্যা না পাওয়া'!" বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই, ২০২৫) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল কাদের তার পোস্টে বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তীতে জামাত শিবিরের পক্ষ থেকে ঢাবি শিবিরের একজন সাবেক সভাপতি এবং এক শিবির নেতার বউ মূলত এই হিস্যার বিষয়টা ডিল করতেন। সচিবালয় থেকে মন্ত্রণালয়, আমলাতন্ত্রের সব জায়গায় নিজেদের মতাদর্শী লোকজন বসানোর ক্ষেত্রে লিঁয়াজো করেছেন মূলত এই দুই ব্যক্তি (আমি যতদূর জানি)।
তিনি বলেন, শুরুতে সবকিছু ভালোই চলছিল, কিন্তু ঝামেলা বাঁধল কিছুদিন পরে। ওই দুই ব্যক্তি সচিবালয় ঘুরে ঘুরে আসিফ নাহিদের নাম বলে বিভিন্ন ব্যক্তির বিষয়ে সুপারিশ করছেন, সেটা আবার আসিফ নাহিদকে না জানিয়েই। বিষয়টা সমীচীন মনে করেননি আসিফ-নাহিদ। কারো কনসার্ন ছাড়া এইভাবে নাম বিক্রি করা সঠিক মনে করেননি তারা। পরবর্তীতে লিঁয়াজো করা জাশির ওই দুই ব্যক্তির নামে মন্ত্রণালয়গুলোতে চিঠি পাঠানো হয়। আসিফ, নাহিদের নাম ভাঙিয়ে এই দুই লোক তদবির করতে আসলে যেন গ্রহণ করা না হয়, চিঠিতে এই মর্মে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, তার পরপরই সাদিক কায়েম ভাই এক রাতে আমাকে ফোন দিলেন, দেখা করতে চান। সন্ধ্যা থেকে রাত চারটা পর্যন্ত ম্যাসেজ দিলেন, আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ছিলাম। কিন্তু ভাইয়ের পিড়াপীড়িতে ওইদিন রাতেই দেখা করতে হলো। চারটায় ভিসি চত্ত্বরে দেখা করলাম। কথা চললো ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় যায় পর্যন্ত। সাদিক ভাইয়ের একটাই অভিযোগ-অনুযোগ, তারা কিনা করছেন! অভ্যুত্থানে এতো এতো অবদান, ত্যাগ; তারপরও তাদের প্রতি এখন ইনজাস্টিস করা হচ্ছে। মাহফুজ-নাহিদ-আসিফরা এখন তাদের কথা শুনছেন না, তাদের সাথে বিট্রে করছেন। মাহফুজরা কথা রাখেন নাই!
আপনার মতামত লিখুন: