রিশাদ হোসেন
আগস্ট ১, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
ছবি- রিশাদ হোসেন | খানসামা | দিনাজপুর টিভি
সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট এবছর ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষকেরা অত্যন্ত খুশি। গত বছরগুলোর তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ, যেমন হালচাষ, নিড়ানি, সার এবং শ্রমিক খরচ বাদ দিয়েও লাভের মুখ দেখছেন পাট চাষীরা।
আজকে খানসামা উপজেলার জমির উদ্দিন শাহ পাড়ার ঈদগাহ সংলগ্ন একটি ডোবা জমিতে পাট জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকা কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন আব্দুর রহমান, মনির ও জয়নুল আবেদিন।
পাট জাগ দেওয়ার সময় কথা হয় কৃষক আব্দুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, এ বছর তিনি প্রায় নয় শতক জমিতে পাটের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, পাট কাটা, হালচাষ, জমিতে নিড়ানি দেওয়াসহ সব মিলিয়ে পাট চাষে খরচ বেশি। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম ভালো থাকায় তিনি লাভবান হবেন। তিনি আরও জানান, পাটগুলো পানিতে জাগ দেওয়ার পর আঁশ বের করতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে।
অন্যদিকে, পাটের আঁশ বের করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন স্থানীয় আরেক কৃষক মনির। তিনি এবার অন্যের জমিতে চুক্তিতে পাট চাষ করেছেন। তিনি বলেন, পাট চাষে অনেক খরচ হয়। তবে যেহেতু তিনি সব কাজ নিজেই করেছেন, তাই তার খরচ কম হয়েছে এবং লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন। তিনি একাই সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত পাটের আঁশ বের করেন।
আরেক কৃষক জয়নুল আবেদিনের সাথে কথা বলে দেখা যায়, তিনি তার ছোট নাতিকে সাথে নিয়ে পানি থেকে কাঁধে করে পাটখড় তুলছেন। তার দুই ছেলে সাজেদ ও সাগর পাটের আঁশ বের করছেন। জয়নুল আবেদিন জানান, তিনি পাটখড়গুলো ভিজা অবস্থায় প্রতিটি ২০ টাকা দরে এবং শুকনো অবস্থায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, পাটখড় বিক্রি করেও ভালো লাভ হয় এবং এগুলো সংরক্ষণ করলে পরবর্তীতে আরও বেশি দামে বিক্রি করা যায়।