ফাহিম হোসেন রিজু
আগস্ট ১, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
ছবি- ফাহিম হোসেন রিজু | দিনাজপুর টিভি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলতি আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষাবাদে কোনো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়নি। কৃষকদের আগ্রহও তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যাচ্ছে।
উন্নত জাতের বীজ, পর্যাপ্ত সার এবং কীটনাশকের সহজলভ্যতা আমন উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ধান রোপণের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে কাটা-মাড়াই শুরু হতে পারে। এ বছর যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে, তাহলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে, অনেক কৃষক জানান, ধানের ন্যায্য মূল্য ও উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ নিশ্চিত করা গেলে তারা ধান চাষে আরও আগ্রহী হবেন। উপজেলার বরাতিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, "এবার পানি ও আবহাওয়া ভালো ছিল, এখন শুধু ভালো ফলনের অপেক্ষা।"
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, "চাষিদের মাঝে উচ্চফলনশীল জাত যেমন ব্রি-৫১, ৫২, ৭৫, ৩৪ ও ১০৩ এবং বিনা ১৭ ও ২০ ধান অধিক ফলনশীল হওয়ায় মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে, বৃষ্টিপাতও যথেষ্ট পরিমাণে হয়েছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা কৃষকদেরকে উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধী জাতের ধান চাষে উৎসাহ দিচ্ছি। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ক্ষতিকর পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে আমরা সতর্ক আছি। কৃষি বিভাগ মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং কৃষকদের পাশে রয়েছে।"