রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

অতিথি পাখি মারলে বিচার হয়, শিবির মারলে বিচার হয় না

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম

অতিথি পাখি মারলে বিচার হয়, শিবির মারলে বিচার হয় না

ছবি - সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে পরাজিত প্রার্থী ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের নেতা আরিফুল্লাহ আদিব বলেছেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি জায়গা যেখানে ছাত্রশিবিরের নাম শুনলেই পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলা হয়। অথচ এখানে আসা অতিথি পাখি মারলেই বিচার হয়।”

শনিবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তিনি এই মন্তব্য করেন। নির্বাচনে আদিব ২,৩৯২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু ৩,৩৩৪ ভোট পেয়ে ভিপি নির্বাচিত হন।

আরিফুল্লাহ বলেন, “এই জায়গায় আমরা ছাত্রশিবির জাকসু নির্বাচনে একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পেরেছি। সেখানে ২৫ জনের মধ্যে ২০ জনই জয়লাভ করেছে। আলহামদুলিল্লাহ।” তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের ধন্যবাদ জানান এবং নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক ও বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রত্যাশা করেন।

আদিব তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্রশিবির করার কারণে ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে ছাত্রত্ব না নিয়েই ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে। তিনি ১৯৯৪ সালের ১৬ আগস্ট নিহত কামরুল ইসলাম এবং অন্য একজন পঙ্গু শিবিরের কথা উল্লেখ করেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। যদিও এর আগে অনেকে মনে করতেন, এখানে শিবির নিষিদ্ধ।