বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে বন্ধ হলো ১১ হাজার ইউটিউব চ্যানেল

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে বন্ধ হলো ১১ হাজার ইউটিউব চ্যানেল

ছবি- সংগৃহীত

আধুনিক বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করে, তেমনি বিভিন্ন দেশের সরকার এবং রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমও হয়ে উঠেছে। ইউটিউব এক্ষেত্রে একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার রোধে গুগল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে গুগল, যেখানে হাজার হাজার ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের প্রায় ১১ হাজার চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে এর মূল সংস্থা গুগল। ২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেই এতগুলো চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে, যার মূল কারণ ছিল চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোর পক্ষে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো।


সিএনবিসির সাম্প্রতিক রিপোর্ট এবং গুগলের অফিসিয়াল ব্লগ থেকে জানা গেছে, এই ১১ হাজার ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে ৭ হাজার ৭০০টি ছিল চীন এবং ২ হাজার ২০০টি রাশিয়ার মদতপুষ্ট চ্যানেল। সব মিলিয়ে এপ্রিল, মে ও জুনের হিসেবে হাজার হাজার চ্যানেল বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব।

এছাড়াও, বেশ কিছু ডোমেনকে গুগল নিউজে যাতে দেখানো না হয়, সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ করা হয়েছে। এসব চ্যানেলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

গুগলের 'থ্রেট অ্যানালিসিস গ্রুপ' সারা বিশ্বের সব ইউটিউব চ্যানেলের ওপর নজরদারি চালায়। এর আগে কেবল মে মাসেই গুগল ২০টি ইউটিউব, চারটি বিজ্ঞাপনী অ্যাকাউন্ট ও একটি ব্লগ বন্ধ করে দিয়েছিল।
 

বন্ধ করে দেওয়া চ্যানেলগুলোর মূল কাজ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো। চীনা চ্যানেলগুলো মূলত চীনা ও ইংরেজি ভাষায় শি জিনপিংয়ের প্রশস্তি এবং মার্কিন বিদেশ নীতির নিন্দা করত। অন্যদিকে, রাশিয়ার চ্যানেলগুলোর কাজ ছিল ইউক্রেন, ন্যাটো ও পশ্চিমী দেশগুলোর সমালোচনায় রাশিয়ার পক্ষে সাফাই দেওয়া। পাশাপাশি মস্কো প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলোর হয়েও কথা বলত এই সব চ্যানেল।

এছাড়া, বাকি চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে ইরান, আজারবাইজান, তুরস্ক, ইসরায়েল, রোমানিয়া ও ঘানার প্রশাসনের হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং ধর্মীয় ইস্যুতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে ইসরায়েল-গাজা ইস্যু যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অভ্যন্তরীণ নির্বাচন। এই চ্যানেলগুলোর মূল কাজই ছিল মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো, যে কারণেই গুগল এগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে।