আগস্ট ৬, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ঘোষিত 'জুলাই ঘোষণাপত্র' এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এই ঘোষণাকে কীভাবে দেখছে এবং তাদের প্রতিক্রিয়া কী, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
'জুলাই ঘোষণাপত্র' এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই ঐতিহাসিক ঘোষণা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে এবং গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের পথকে সুগম করবে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে, এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপক্ষে ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিএনপির মহাসচিব দীর্ঘ ১৬ বছরের 'ফ্যাসিস্ট সরকারের' বিরুদ্ধে জনগণের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করে বলেন, "এই দেশের মানুষ এক ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে, গুম হয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল।"
তিনি বলেন, বিএনপি এই নির্বাচনকে সফল করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এবং একটি কার্যকরী জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, "বিএনপি বিশ্বাস করে যে এই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যে অঙ্গীকার করেছে, তা পালনের মধ্য দিয়ে এক নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে।" তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি সত্যিকারের প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।