আগস্ট ৮, ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তারা নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গার প্রয়োজন অনুভব করছিলেন। সেই প্রয়োজনে সম্প্রতি তারা কলকাতার লাগোয়া একটি উপশহরে একটি বাণিজ্যিক ভবনে নিজেদের 'দলীয় কার্যালয়' খুলেছেন।
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুতির পর আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে তারা শুধু অবস্থানই করছেন না, একটি 'দলীয় কার্যালয়' খুলে রাজনৈতিক কার্যক্রমও চালাচ্ছেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলকাতার পাশের একটি উপশহরের একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের আট তলায় এই কার্যালয়টি খোলা হয়েছে। এটি প্রায় পাঁচ-ছয়শ বর্গফুটের একটি ঘর, যেখানে কোনো সাইনবোর্ড বা দলীয় প্রতীক নেই। শেখ হাসিনা বা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবিও সেখানে রাখা হয়নি। খুবই সচেতনভাবে এটিকে একটি সাধারণ বাণিজ্যিক অফিসের মতো করে সাজানো হয়েছে, যাতে এর পরিচিতি প্রকাশ না পায়।
আওয়ামী লীগের এক পলাতক নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, "নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ ও বৈঠকের জন্য একটি ঘরের প্রয়োজন ছিল। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, তবে আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস।" প্রায় ৩০-৩৫ জন নেতা এই কার্যালয়ে একসঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এর চেয়ে বড় কোনো বৈঠকের জন্য তারা রেস্টুরেন্ট বা ব্যাঙ্কুয়েট হল ভাড়া করেন।
ক্ষমতা হারানোর পর প্রথম কয়েক মাস আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের বাসাবাড়িতে ছোটখাটো বৈঠক করতেন। এখন এই নির্দিষ্ট কার্যালয় থেকে তারা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এখানে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির নেতারা নিয়মিত মিলিত হন।