আগস্ট ৯, ২০২৫, ১১:০০ এএম
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন করে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিএনপি, যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি, তারাও তাদের নির্বাচনি কৌশল নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এ প্রেক্ষাপটে দলটি পুরনো মিত্রদের পাশাপাশি দেশের আলেম-ওলামা ও ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি তাদের পুরনো মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ধর্মভিত্তিক ইসলামি দল ও সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, এর মাধ্যমে বিএনপি জোট কিংবা নির্বাচনি সমঝোতার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করতে চাইছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, বিএনপি আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আলেম-ওলামা, ইসলামি দল ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে অধিকতর যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি বিএনপির দুই স্থায়ী কমিটির সদস্য হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং ছারছীনা দরবার শরিফের পীর মুফতি শাহ আবু নছর নেছারউদ্দীন আহমাদ হুসাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, "আমরা রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, ইসলামপন্থি-সব মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্দেশ্য একটাই- বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করে, ঐক্যবদ্ধ করে এমনভাবে দেশ পরিচালনা করতে চাই, যেখানে বিভক্তি থাকবে না।"
বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি পথ পাড়ি দিতে চান। শুক্রবার (৮ আগস্ট) ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীতে গণতন্ত্র মঞ্চসহ আরও কয়েকটি দলের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে।
তবে এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে রাখার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। আদর্শিকভাবে জামায়াতবিরোধী ধর্মভিত্তিক দল ও সংগঠনকে পাশে রাখতে চায় বিএনপি।