শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২
ক্রিকেট

আইপিএল বিসিসিআইয়ের ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’, আয় চমকে দেবে!

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম

আইপিএল বিসিসিআইয়ের ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’, আয় চমকে দেবে!

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) যে এক 'সোনার ডিম পাড়া হাঁস', তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষেও বিসিসিআইয়ের মোট আয়ের অর্ধেকের বেশি এসেছে এই কুড়ি ওভারের জমজমাট প্রতিযোগিতা থেকে। এই আয় শুনলে যে কেউ চমকে যাবেন, এমনই তথ্য উঠে এসেছে সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে।

 

আইপিএল শুরু হওয়ার পর থেকেই বিসিসিআইয়ের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস এই প্রতিযোগিতা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের হিসাবেও সেটাই স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের মোট আয়ের ৫৯.১০ শতাংশই এসেছে আইপিএল থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের মোট আয় হয়েছে ৯৭৪২ কোটি রুপি, যার মধ্যে টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাটি থেকে এসেছে ৫৭৬১ কোটি রুপি


 

আইপিএল ছাড়া বিসিসিআইয়ের অন্যান্য আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে ডব্লিউপিএল (মেয়েদের আইপিএল), আন্তর্জাতিক ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব এবং বিভিন্ন স্পনসর। ভারতের ম্যাচগুলো থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের আয় হয়েছে ৩৬১ কোটি রুপি

এছাড়াও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) থেকে এই অর্থবর্ষে ভারতীয় বোর্ড পেয়েছে ১০৪২ কোটি রুপি, যা বোর্ডের মোট আয়ের ১০.৭০ শতাংশ। উল্লেখ্য, বিসিসিআইয়ের স্থায়ী আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা, যার সুদ বাবদ বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা আয় হয়।

 

ব্যবসায়িক কৌশলবিদ লয়েড ম্যাথিয়াস আইপিএলের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “২০০৭ সালে আইপিএল নামক রাজহাঁসটিকে আবিষ্কার করে বিসিসিআই। ঘরোয়া স্তরে ক্রিকেটারদের আয়ের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আইপিএল একটি নিখুঁত পরিকল্পনা। প্রতিযোগিতার সম্প্রচার স্বত্ব থেকে আয় ক্রমশ বাড়ছে। এই প্রতিযোগিতা রঞ্জি ট্রফি স্তরের খেলোয়াড়দের আয় নিশ্চিত করে। প্রতিযোগিতার ব্যাপ্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিসিসিআইয়ের আয়।”

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এই প্রতিযোগিতার ওপর ক্রিকেট অর্থনীতির নির্ভরশীলতা বাড়ছে। ফলে ভারতীয় বোর্ডের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক আইসিসিরও। আর এভাবেই ক্রিকেটে নিজেদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথে রয়েছে ভারত।