বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

কচু চাষে হতাশ কৃষক: ঢাকার বাজারে খুঁজছেন লাভ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

কচু চাষে হতাশ কৃষক: ঢাকার বাজারে খুঁজছেন লাভ

ছবি-দিনাজপুর টিভি

দিনাজপুরের উর্বর মাটি বরাবরই কৃষকদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কিন্তু ভালো ফলন পেলেও অনেক সময় ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফোটে না। এমনই এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কচু চাষী  এর জীবনে। তিনি দেড় বিঘা জমিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে কচু চাষ করেছিলেন। তার ক্ষেতে এখন গাছে গাছে লতিতে ভরে উঠেছে, যা দেখে শুরুতে তিনি দারুণ আশাবাদী ছিলেন ভালো লাভের ব্যাপারে।

তবে, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে কচুর লতির যে দাম পাচ্ছেন, তাতে তিনি হতাশ। তার হিসাবে লাভের অঙ্ক মিলছে না। আলিমুল হক জানান, "কচুর লতি চাষে যা পরিশ্রম ও খরচ হয়েছে, সেই তুলনায় স্থানীয় বাজারে দাম খুবই কম। এতে করে লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচ তোলাও কঠিন হয়ে পড়ছে।" এই পরিস্থিতিতে তিনি বিকল্প পথ খুঁজছেন।

কৃষক  এখন ভাবছেন, তার উৎপাদিত পুরো কচু ঢাকায় রপ্তানি করবেন। তিনি বলেন, "লোকাল মার্কেটে যদি লাভ কম হয়, তাহলে ঢাকায় পাঠালে হয়তো দাম ভালো পাওয়া যাবে। পরিবহন খরচ বেশি হলেও, মোট অঙ্কে লাভ বেশি থাকতে পারে।" এটি স্থানীয় বাজার ব্যবস্থার একটি বড় চ্যালেঞ্জকে তুলে ধরে, যেখানে উৎপাদকরা তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

 আরও জানান, কচুর লতি বিক্রির পর পর্যায়ক্রমে তিনি কচুর কাণ্ড বা কাঠও বিক্রি করবেন। তার মতে, কচুর প্রতিটি অংশই বিক্রিযোগ্য এবং যদি সঠিক বাজার ও মূল্য পাওয়া যায়, তবে কচু চাষ হতে পারে অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। তার অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, শুধু ভালো ফলনই যথেষ্ট নয়, কৃষকের লাভের জন্য প্রয়োজন সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ।

এই কৃষকের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দিচ্ছে যে, কৃষিতে ফলন ভালো হলেও, ন্যায্যমূল্যের অভাবে কৃষকরা প্রায়শই পিছিয়ে পড়েন। সরকারের উচিত বাজার ব্যবস্থার উপর আরও নজরদারি বাড়ানো এবং কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে কৃষকের পরিশ্রম সার্থক হয়।

দিনাজপুর টিভি কৃষকদের এমন সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প সবসময় আপনাদের সামনে তুলে ধরে। আরও বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন দিনাজপুর টিভিতে।