জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
দিনাজপুরের উর্বর মাটি ও এখানকার অনুকূল আবহাওয়া কৃষি কাজের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দিনাজপুরের কৃষকরা এখন পটল চাষে নতুন করে মনোযোগী হচ্ছেন। তাদের আন্তরিক পরিশ্রম এবং আধুনিক চাষপদ্ধতির ব্যবহার বদলে দিচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষির চিত্র। অনেক জমিতেই এখন দেখা মিলছে সবুজে মোড়া পটলের লতানো ক্ষেত।
পটল চাষের বিশেষত্ব হলো এর কম উৎপাদন খরচ এবং বেশি লাভজনকতা। কৃষকরা জানান, ধান বা অন্যান্য প্রচলিত ফসলের চেয়ে পটল চাষে বিনিয়োগ কম লাগে, অথচ বাজারে এর চাহিদা বেশি থাকায় এবং দাম তুলনামূলক ভালো পাওয়ায় লাভের পাল্লা ভারি হয়। এ কারণেই অনেক কৃষক তাদের চিরাচরিত ধান চাষের পাশাপাশি পটল চাষকে বেছে নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার এক মৌসুমে পটল চাষ করে যে লাভ করছেন, তাতে তাদের পরিবারের সচ্ছলতা আসছে। আবার কেউ কেউ একাধিক মৌসুমে পটল চাষ করে আর্থিকভাবে পুরোপুরি স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।
সচেতন চাষিরা পটল ক্ষেতের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচর্যা নিচ্ছেন। তারা জমিতে সঠিকভাবে জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করছেন এবং বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখছেন, যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। এতে পটলের ফলন যেমন ভালো হচ্ছে, তেমনি ফসলের মানও উন্নত হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারাও প্রতিনিয়ত কৃষকদের পাশে আছেন, তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে পটল চাষে আরও উৎসাহিত করছেন।
দিনাজপুরের গ্রামীণ অর্থনীতিতে পটল এখন শুধু একটি সাধারণ সবজি নয় – এটি সম্ভাবনার এক নতুন প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। পটলের ভালো ফলন এবং ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি স্থানীয় কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে এবং যথাযথ পরিচর্যা ও সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তবে এই অঞ্চলে পটল চাষ কৃষকদের জীবনে আরও আশার আলো নিয়ে আসতে পারে। এটি শুধু কৃষকদের নয়, বরং সামগ্রিক গ্রামীণ অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে।
দিনাজপুরের কৃষকদের পটল চাষে এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, সঠিক উদ্যোগ আর সামান্য পরিচর্যাতেও কৃষি ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। পটল চাষের এই নবদিগন্ত দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। দিনাজপুর টিভি এমন আরও সফল কৃষি উদ্যোগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবে। আরও জানতে চোখ রাখুন দিনাজপুর টিভিতে।
আপনার মতামত লিখুন: