মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

বন্যার শঙ্কা কাটিয়ে ভালো ফলনে খুশি কুমিল্লার কৃষকেরা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১২:৫০ পিএম

বন্যার শঙ্কা কাটিয়ে ভালো ফলনে খুশি কুমিল্লার কৃষকেরা

ছবি- সংগৃহীত

গত বছর গোমতী ও সালদা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যায় সব ফসল হারানোর পর এ বছর ভালো ফলনে আনন্দে মেতে উঠেছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার কৃষকরা। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও যত্নে ফলানো আউশ ধান এখন ঘরে তোলার মোক্ষম সময় চলছে। পুরো এলাকার মাঠে মাঠে এখন ফসল কাটার উৎসবের আমেজ।

কৃষকরা জানান, গত বছর তারা তাদের আধাপাকা ও পাকা আউশ ধান ঘরে তুলতে পারেননি। আকস্মিক বন্যায় চোখের সামনে কষ্টার্জিত ফসল তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য তারা এখনো ভুলতে পারেননি। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ফলন ভালো হওয়ায় তারা দারুণ খুশি। গত বছরের ক্ষতির কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তারা মনে করছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১০৪ হেক্টর, যা ছাড়িয়ে অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ১৪৬ হেক্টর। সময়মতো সঠিক বালাইনাশক, সার ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এবার ফলন আশানুরূপ হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, "গত বছর ঘরে তোলার অপেক্ষায় থাকা পাকা আউশ ধান বন্যায় সব ডুবিয়ে দিয়েছিল। তবে এবার আমরা পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছি। ফলনও ভালো হয়েছে। এতে আমরা বেশ খুশি।" আরেক কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, গত বছর বন্যার আশঙ্কায় তারা আতঙ্কিত থাকলেও অবশেষে বন্যা হয়নি। এখন তারা নির্বিঘ্নে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, "এখন কৃষকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও স্বপ্নের বাস্তবায়নের সম্মিলিত চিত্র মাঠে মাঠে ফুটে উঠেছে।" তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা দেওয়াসহ ফসলের রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত সহযোগিতা করা হচ্ছে, যা ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। এই আনন্দ কৃষকদের নিরলস পরিশ্রমের ফল।