স্বাস্থ্যসম্মত রান্নার জন্য প্রেসার কুকারে রান্না করবেন না যে ৫ খাবার

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে অনেকেই এখন রান্নায় প্রেসার কুকারের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে কর্মজীবী দম্পতিদের জন্য এটি যেন এক অপরিহার্য যন্ত্র। দ্রুত খাবার সেদ্ধ করা এবং সহজে রান্না করার সুবিধার কারণে এটি বেশ জনপ্রিয়। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, কিছু খাবার কখনোই প্রেসার কুকারে রান্না করা উচিত নয়। এতে শুধু খাবারের স্বাদ ও গঠনই নষ্ট হয় না, অনেক সময় পুষ্টিগুণও হারিয়ে যায়।

১. নরম সবজি: পালং শাক, লেটুস, ব্রকোলি, কিংবা জুচিনির মতো সবজিগুলো এমনিতেই খুব দ্রুত সেদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রেসার কুকারের অতিরিক্ত তাপ ও বাষ্পে এগুলোর প্রাকৃতিক রং ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই এসব সবজি সাধারণ পাত্রে কম আঁচে রান্না করাই ভালো।

ন্যাড়া হলে কি চুল ঘন হয়? গবেষণা কী বলছে, জেনে নিন

বিস্তারিত পড়ুন

২. পাস্তা বা নুডলস: পাস্তা, নুডলস কিংবা ম্যাকারনির মতো খাবারগুলো দ্রুত পানি শুষে নেয়। কুকারে পানির সঠিক পরিমাণ মাপা কঠিন হয়। ফলে অতিরিক্ত সেদ্ধ হয়ে এগুলো দলাবেঁধে লেগে যেতে পারে কিংবা একেবারেই নরম হয়ে যেতে পারে, যা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে।

৩. সামুদ্রিক মাছ: স্যালমন, পমফ্রেট বা চিংড়ির মতো সামুদ্রিক মাছ খুব অল্প আঁচেই রান্না হয়ে যায়। কিন্তু কুকারের উচ্চচাপে এগুলো অতিরিক্ত সেদ্ধ হয়ে শক্ত ও শুষ্ক হয়ে যায়, যার ফলে মাছের আসল স্বাদ ও রসালো ভাব চলে যায়। তাই সামুদ্রিক মাছ স্টিম, গ্রিল বা হালকা ভাজায় রান্না করলে ভালো স্বাদ পাওয়া যায়।

৪. দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, ক্রিম বা চিজ দিয়ে তৈরি ক্ষীর, কাস্টার্ড বা পনিরের তরকারি প্রেসার কুকারে রান্না করা ঠিক নয়। উচ্চ তাপে এগুলো ফেটে যায়, দলা পাকায় কিংবা আলাদা হয়ে যায়, যা খাবারের গঠন ও স্বাদ নষ্ট করে দেয়।

৫. বেক করা খাবার বা কেক: ওভেনের মতো শুষ্ক তাপ প্রেসার কুকার তৈরি করতে পারে না। ফলে কুকারে তৈরি কেক বা বিস্কুট তার খাস্তা ভাব হারিয়ে ঘন ও শক্ত হয়ে যায়। যদিও অনেকে কুকারে কেক তৈরি করেন, তবে এর টেক্সচার কখনোই ওভেনে বেক করা কেকের মতো হালকা ও নরম হয় না।

রান্নার সঠিক পদ্ধতি বেছে নিলে খাবারের পুষ্টি ও স্বাদ উভয়ই বজায় রাখা সম্ভব।