সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, প্রতিকার কী?

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১০:২১ এএম

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, প্রতিকার কী?

ছবি - সংগৃহীত

পিত্তথলিতে পাথর (গলব্লাডার স্টোন) এখন একটি বহুল পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস চর্বি ভাঙার কাজ করে এবং তা পিত্তথলিতে জমা থাকে। এই পিত্তরসের রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট হলে তা জমাট বেঁধে পাথরের সৃষ্টি করে।

পিত্তরসের মধ্যে থাকে পানি, কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন এবং বিভিন্ন লবণ। এদের যেকোনো একটি উপাদানের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে বা পিত্তথলি সঠিকভাবে খালি না হলে পিত্ত ঘন হয়ে জমাট বাঁধে, যা ধীরে ধীরে পাথরে রূপান্তরিত হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়:

  • নারীরা: পুরুষদের তুলনায় নারীরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন।

  • গর্ভবতী নারী: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকি বাড়ে।

  • স্থূল ব্যক্তি: অতিরিক্ত ওজন এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

  • চল্লিশোর্ধ্ব নারী ও পুরুষ: এই বয়সসীমার পরে রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

  • কম শারীরিক পরিশ্রম: যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না, তাদের ঝুঁকি বেশি।

  • দীর্ঘ সময় উপবাস: দীর্ঘ সময় ধরে উপবাস করলে পিত্তথলির কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে।

অনেক সময় এই রোগকে ‘নীরব রোগ’ বলা হয়, কারণ প্রাথমিক অবস্থায় এর কোনো স্পষ্ট লক্ষণ থাকে না। তবে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে:

  • চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ তীব্র ব্যথা

  • পেটের ডান দিকে বা মাঝখানে অস্বস্তি

  • বমি বা হজমের সমস্যা

  • জ্বর এবং চোখ ও ত্বকে হলদে ভাব

এই সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রচলিত চিকিৎসা হলো ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটোমি, যা একটি নিরাপদ অস্ত্রোপচার পদ্ধতি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যগ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।