শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

বেগুন গাছে টমেটো চাষ করে সাড়া ফেললেন ময়মনসিংহের শহিদুল্লাহ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম

বেগুন গাছে টমেটো চাষ করে সাড়া ফেললেন ময়মনসিংহের শহিদুল্লাহ

ছবি- সংগৃহীত

 বাঁশঝাড় ও রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত কাঁটাযুক্ত জংলি বেগুন গাছে টমেটো ফলিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কৃষক মো. শহিদুল্লাহ। গ্রাফটিং (কাটিং কলম) পদ্ধতিতে এই ব্যতিক্রমী চাষ করে তিনি বর্ষা মৌসুমে টমেটোর প্রধান শত্রু ‘ঢলেপড়া’ রোগ থেকে শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছেন। তার এই বিষমুক্ত টমেটো খেত দেখতে এখন দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমাচ্ছেন আগ্রহী কৃষকরা।

শহিদুল্লাহর এই সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষকরা প্রথমে বিস্মিত হয়েছিলেন। তাঁতকুড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, “শহিদুল্লাহ যখন জংলি বেগুন গাছ সংগ্রহ করছিল, তখন ওকে দেখে পাগল মনে হয়েছিল। এখন সেই গাছে সত্যি টমেটো ফলতে দেখে নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছে না।”

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ কাজে শহিদুল্লাহকে সহযোগিতা করেছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় পলিনেট হাউজে এই প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হয়।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সুমন চন্দ্র সরকার জানান, বেগুন গাছের গোড়ায় টমেটো গ্রাফটিং করার ফলে ঢলেপড়া রোগ থেকে ফসল শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। তিনি বলেন, “শহিদুল্লাহ ৯৯.৯৯ শতাংশ সফল হয়েছেন। তার ৯৯৮টি গাছে টমেটো এসেছে, একটিতেও রোগবালাই নেই।”

উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, “অসময়ে এই চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারেন। এই পদ্ধতি সহজ, ফলন ভালো এবং রোগবালাইও কম হয়।”

কৃষক মো. শহিদুল্লাহ জানান, মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। তিনি বলেন, “প্রথম দফাতেই ৭০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে। আরও ৪০-৪৫ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হবে।” বর্তমানে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে।