শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

রাম্বুটান চাষে দৃষ্টান্ত নারী উদ্যোক্তা খাদিজা, পরিদর্শনে নীলফামারীর ডিসি

বিধান চন্দ্র রায়

আগস্ট ১২, ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম

রাম্বুটান চাষে দৃষ্টান্ত নারী উদ্যোক্তা খাদিজা, পরিদর্শনে নীলফামারীর ডিসি

ছবি-দিনাজপুর টিভি

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের সুনগর গ্রামের নারী কৃষি উদ্যোক্তা খাদিজা বেগমের দর্শনীয় রাম্বুটান বাগান সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার খোরশেদ আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং চেয়ারম্যান সাদেকুল সিদ্দিক প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, “খাদিজা উদ্যোক্তাদের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। বাগান করে তিনি বাণিজ্যিকভাবে সফলতা অর্জন করেছেন। স্থানীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জেলার বাইরেও ফল পাঠিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন। খাদিজার বাগানে থাকা কপির প্রক্রিয়াজাত মেশিনসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।”

পরে বাগানের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং চাষাবাদ, পরিচর্যা, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

উদ্যোক্তা খাদিজা বেগম বলেন, “এর আগে কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বাগান পরিদর্শন করেছেন। তবে এবারে ডিসি স্যারসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসায় আমি খুব আনন্দিত। তাঁদের উৎসাহে আমি আরও এগিয়ে যেতে চাই।”

উল্লেখ্য, খাদিজা বেগম মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি ৫ বিঘা জমিতে রাম্বুটান, ড্রাগন, কফিসহ নানা জাতের ফলগাছ লাগিয়েছেন। ২০১৪ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের সহযোগিতায় নতুন কিছু করার উদ্যোগ নেন। প্রচলিত ফসলের বাইরে গিয়ে নতুন নতুন ফলের চাষ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন এবং বেকার তরুণ-তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন।