শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

কারা নির্যাতনে খালেদা জিয়ার বিচার চাইলেন মির্জা আব্বাস

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৪:২১ পিএম

কারা নির্যাতনে খালেদা জিয়ার বিচার চাইলেন মির্জা আব্বাস

ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে একজন মৃত বাবাকে চেয়ারে বসিয়ে তার সন্তানরা জোরপূর্বক সম্পত্তি লিখে নিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ এবং বিভ্রান্তি তৈরি করে। তবে, ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা 'রিউমার স্ক্যানার'-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং একটি পরিকল্পিত গুজবের অংশ।

রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধান টিম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তথ্য যাচাই করে জানায়, ভাইরাল ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে একটি হাউজিং কোম্পানির কাছে জমি বিক্রির একটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে মুমূর্ষু বা মৃত বলে দাবি করা হয়েছে, তিনি আসলে জীবিত আছেন। তার নাম মো. হোসেন খান, যিনি উইনম্যাক্স মোবাইল কোম্পানির চেয়ারম্যান। তিনি বর্তমানে অসুস্থ থাকলেও, তার অবস্থা নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরটি মিথ্যা। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য বা ভিডিও বিশ্বাস করা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।

রিউমার স্ক্যানার এর অনুসন্ধানে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তাদের মতে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দেশ-বিদেশ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব, ভুল তথ্য এবং অপতথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই চক্রটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। এই ধরনের ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে তারা কেবল ব্যক্তিগত সম্মানহানিই করছে না, বরং এর ফলে সমাজে অস্থিরতাও তৈরি হচ্ছে। আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই চক্রগুলো பெரும்பாலும் ভুয়া অ্যাকাউন্ট এবং বট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এই ধরনের ভিডিও বা পোস্ট ভাইরাল করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল যুগে এই ধরনের অপতথ্য মোকাবেলা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো একটি গুরুতর অপরাধ। সরকারের পক্ষ থেকে সাইবার অপরাধ দমনে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও, এই ধরনের গুজব নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। সচেতন পাঠক ও ব্যবহারকারী হিসেবে প্রতিটি তথ্য যাচাই করে দেখা এবং গুজবে কান না দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করল যে, সামাজিক মাধ্যম যেমন তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করে, তেমনি এটি অপতথ্য ও গুজবেরও প্রধান উৎস। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের সাইবার অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নাগরিকদেরও আরও বেশি সচেতন হতে হবে যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক বা ভুল তথ্যের ফাঁদে তারা না পড়েন।