আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
দীর্ঘ এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০২৪ সালের জন্য নির্বাচন কমিশনে তাদের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দলটির মোট আয় ছিল প্রায় ২৯ কোটি টাকা, যা দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আয়ের তুলনায় অনেক বেশি।
জামায়াতে ইসলামীর আয়ের প্রধান উৎস হলো কর্মীদের মাসিক চাঁদা। কর্মীরা তাদের আয়ের ৫% অনুদান হিসেবে দেন, যা থেকে দলটি প্রায় ১৬.৫ কোটি টাকা আয় করেছে। অন্যান্য আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
উপদেষ্টা পরিষদের চাঁদা থেকে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা।
-
বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার অনুদান থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা।
-
দলের পত্রিকা, সাময়িকী ও বই বিক্রি থেকে ৯ লাখ টাকা।
-
অন্যান্য চাঁদা থেকে ৭ লাখ টাকা।
গত বছর জামায়াতে ইসলামী মোট ২৬ কোটির বেশি টাকা ব্যয় করেছে। ব্যয়ের সবচেয়ে বড় খাত ছিল কর্মীদের বেতন ও সম্মানীর জন্য ৬.৫ কোটি টাকা খরচ। অন্যান্য ব্যয়ের খাতগুলো হলো:
-
আবাসন ও প্রশাসনিক খাতে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
-
প্রচার ও পরিবহনে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
-
আপ্যায়নে ১১ লাখ টাকা।
সব খরচ বাদ দিয়ে গত বছরের শেষে জামায়াতের তহবিলে প্রায় ১৬ কোটি টাকা জমা ছিল।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর দলটি এক যুগ পর তাদের এই হিসাব জমা দিয়েছে। দলের অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, জামায়াতে ইসলামীর কোনো নিজস্ব ব্যাংক হিসাব নেই।