জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের মধ্যে এখন নতুন করে করলা চাষ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। কম খরচে অধিক ফলনের সম্ভাবনা থাকায় এই সবজি চাষে ঝুঁকছেন অনেক প্রান্তিক কৃষক। এমনই একজন কৃষক, যিনি মাত্র ১২০০ টাকা খরচ করে ৪ কাঠা জমিতে করলা চাষ করে এখন সফলতার মুখ দেখছেন। তার ক্ষেতে এখন থোকা থোকা করলা ঝুলছে, যা প্রতিদিনই বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
এই কৃষক জানান, শুরুতে কিছুটা সংশয়ে থাকলেও, সঠিক পরিচর্যা তাকে এনে দিয়েছে কাঙ্ক্ষিত ফলন। নির্দিষ্ট পরিমাণে সার প্রয়োগ, সময়মতো জমিতে পানি দেওয়া এবং নিয়মিত গাছের পরিচর্যা—সব মিলিয়ে তার এই অল্প বিনিয়োগেই ভালো ফলন পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, "শুরুর দিকের কষ্টটা এখন ফল দিচ্ছে। গাছে যখন করলা ঝুলে থাকতে দেখি, তখন সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।" তার এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, সঠিক পরিকল্পনা এবং সামান্য পরিচর্যাতেও কৃষিক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
বর্তমানে বাজারে করলার ভালো দাম থাকায় কৃষক বেশ খুশি। টাটকা করলা স্থানীয় বাজারে সহজেই বিক্রি হচ্ছে, যা কৃষকের হাতে নগদ অর্থ তুলে দিচ্ছে। এটি শুধু তার আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াচ্ছে না, বরং তার আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি করছে। করলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি সবজি হওয়ায় এর বাজার চাহিদাও সারা বছরই থাকে।
এই কৃষকের সাফল্য দেখে আশপাশের অন্য কৃষকরাও করলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকেই তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন এবং নিজেদের জমি করলা চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন। এটি স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে এবং নতুন নতুন কৃষককে এই লাভজনক চাষের দিকে ধাবিত করছে। কৃষি কর্মকর্তারাও কৃষকদের করলা চাষে উৎসাহিত করছেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছেন।
এভাবে কৃষিতে যদি সঠিক পরিকল্পনা ও নিয়মিত পরিচর্যা থাকে, তবে কম খরচেও কৃষকরা যে লাভবান হতে পারেন, এই করলা চাষ তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীও করে তুলছে।
করলা চাষের এই সাফল্য দেশের অন্যান্য কৃষকদের জন্যও অনুপ্রেরণা। সঠিক জ্ঞান আর পরিশ্রমের সমন্বয়ে কৃষিক্ষেত্রে যে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব, তা এই করলা চাষই প্রমাণ করে। দিনাজপুর টিভি এমন আরও লাভজনক কৃষি উদ্যোগ এবং কৃষকদের সাফল্যের গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবে। আরও জানতে চোখ রাখুন দিনাজপুর টিভিতে।
আপনার মতামত লিখুন: