সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জরুরি ১১টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এসব নির্দেশনা জারি করেন।
নির্দেশনাসমূহের মধ্যে রয়েছে:
১. ডেঙ্গু রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এনএস-১ পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলোকে কিটের জন্য সিএমএসডি বা সিডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
২. ভর্তি রোগীদের প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালের ভেতরে করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. সব ওষুধ মজুত সাপেক্ষে হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করতে হবে।
৪. সব ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একটি একক ডেডিকেটেড ওয়ার্ড, কর্নার বা কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে।
৫. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসার জন্য একটি নির্দিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন করতে হবে। এই টিমে একজন অধ্যাপক, দুজন সহযোগী অধ্যাপক, এবং পাঁচজন সহকারী অধ্যাপক/জুনিয়র কনসালট্যান্ট/বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
৬. হাসপাতালের বহির্বিভাগে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের জন্য একটি আলাদা কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে।
৭. আইসিইউ এবং হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৮. কোনো রোগীর মৃত্যু হলে তার সংক্ষিপ্ত তথ্য ৬ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট পরিচালককে মোবাইল মেসেজ ও ইমেইলের মাধ্যমে জানাতে হবে।
৯. মশক নিধন ও হাসপাতালের চারপাশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের জন্য হাসপাতাল পরিচালককে মেয়র বরাবর পত্র দিতে হবে।
১০. প্রতি শনিবার সকালে পরিচালকের সভাপতিত্বে একটি ডেঙ্গু সমন্বয় সভা আয়োজন করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
১১. প্রয়োজন অনুসারে অন্যান্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে।