জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
দিনাজপুর, যা বাংলাদেশের শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত, সেখানকার কৃষকরা বর্তমানে এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই বছর চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা তাদের প্রধান ফসল ধান চাষ নিয়ে গভীর সংকটে পড়েছেন। প্রাকৃতিকভাবে যে বৃষ্টির জলের উপর তারা নির্ভরশীল থাকেন, তা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে সেচের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু এই সেচের পানি জোগানেও তাদের নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
ক্ষেতে ধান রোপণের পর প্রয়োজনীয় জলের অভাবে অনেক কৃষকেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অনেকে ধানের জমিতে সার প্রয়োগ করলেও, পানি না থাকায় সেই সারের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রমে মাঠে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। কৃষকদের অভিযোগ, নিয়মিত বৃষ্টি না হওয়ায় সেচের পানি জোগান দিতে গিয়ে তাদের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ বা ডিজেলের সাহায্যে সেচ দিতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হওয়ায় তাদের লাভের অঙ্ক কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে তারা উদ্বিগ্ন, এই সংকট কতদিন চলবে এবং কবে নাগাদ মাঠে প্রয়োজনীয় পানি নিশ্চিত হবে।
তবে, এই প্রতিকূলতার মধ্যেও কৃষকরা ধৈর্যহারা হননি। ধানের ভালো ফলনের আশায় তারা নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক কৃষকই বলছেন, "বৃষ্টির অভাবে সেচ দিতে হচ্ছে বেশি, যা খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের আশা, দ্রুত বৃষ্টি শুরু হবে এবং তখন ধান ভালো হবে।" তারা প্রকৃতির অনুকূল অবস্থার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে অপেক্ষা করছেন।
কৃষি কর্মকর্তারাও এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং কৃষকদের সাধ্যমতো পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছেন। তারা সেচের পানির সঠিক ব্যবহার এবং কম পানি প্রয়োজন হয় এমন ধান চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করছেন। এই সংকটময় সময়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি, যাতে তাদের পরিশ্রম ব্যর্থ না হয় এবং দেশের খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত না হয়।
সেচ নিয়ে এই জটিলতা দিনাজপুরের কৃষকদের জন্য একটি বড় পরীক্ষা। প্রকৃতির কৃপা এবং যথাযথ সহযোগিতা পেলে কৃষকরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। দিনাজপুর টিভি কৃষকদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ আপনাদের সামনে তুলে ধরবে। আরও জানতে চোখ রাখুন দিনাজপুর টিভিতে।
আপনার মতামত লিখুন: