সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
একই পরিবারের দুই গৃহবধূ এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়েছেন। তারা বাড়ির শ্বশুর-শাশুড়ি ও তিন মেয়েকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে একই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। ঘটনার খবর প্রকাশ হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ এই দুই গৃহবধূকে আটক করতে সক্ষম হলেও মূল অভিযুক্ত প্রেমিক এখনো পলাতক।
সোমবার বিকেলে ইয়াসিন শেখ এবং তার ভাই আনিসুর শেখের স্ত্রী হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান। তাদের খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে দুই ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারা জানান, প্রতিবেশী যুবক আরিফ মোল্লাই তাদের স্ত্রীদের প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। আরিফের স্ত্রীও একই দাবি করেন এবং পুলিশকে জানান, তার স্বামীই দুই গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাদের নিয়ে পালিয়েছেন।
পুলিশ দ্রুত দুই নারীর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে। তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই প্রেমিক আরিফ মোল্লা পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ দুই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করেন যে, একই প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর জন্যই তারা এই পরিকল্পনা করেছিলেন। ছোট বউ নাজমা বেগম জানান, তারা পরিবারের সদস্যদের চায়ের সঙ্গে বিষ নয়, শুধু ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়েছিলেন। বড় জা কুলচান অকপটে স্বীকার করেন, "আমরা জানতাম বাড়ির লোকজন আটকাতে চাইবে। তাই আগে থেকেই ব্যবস্থা করেছিলাম, যেন তারা ঘুমিয়ে পড়েন এবং আমরা পালাতে পারি।" এই স্বীকারোক্তি শোনার পর পুলিশও বিস্মিত হয়ে যায়। সাধারণত এ ধরনের ঘটনায় একাধিক পুরুষের নাম উঠে এলেও এখানে দুই নারীর লক্ষ্য ছিল একই ব্যক্তি।
এই ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, এমন ঘটনা তারা কখনো কল্পনা করেননি। অনেকে মনে করছেন, এই ঘটনা সমাজ ও পারিবারিক সম্পর্কের ভাঙন কতটা গভীর হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই নারীকে আদালতে তোলা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে। একইসঙ্গে মূল অভিযুক্ত প্রেমিক আরিফ মোল্লাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।