জুলাই ২১, ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
নিহত রাজেশ কুমার মাহাথার সঙ্গে তার স্ত্রী পূজা কুমারীর বেশ কিছুদিন ধরেই পারিবারিক কলহ চলছিল। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার তাদের মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছায়। পুলিশ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ঘটনার রাতে যখন রাজেশ ঘুমাচ্ছিলেন, সেই সময় পূজা একটি হাতুড়ি নিয়ে তার উপর উপর্যুপরি আক্রমণ করেন। উপর্যুপরি আঘাতে রাজেশের মাথা থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রক্তে ভেসে যায় পুরো বিছানা, যা এই ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে।
মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, রাজেশকে হত্যার পর পূজা তার সন্তানদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরের দিন পুলিশ রাজেশের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। একইসাথে, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা হাতুড়িটিও উদ্ধার করা হয়, যা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আলামত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পূজা ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তদন্তকারীদের সন্দেহ স্বাভাবিকভাবেই তার দিকে নিবদ্ধ হয়। পুলিশ দ্রুত পূজার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অবশেষে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনার দু'দিনের মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূজা কুমারী তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তার এই স্বীকারোক্তি মামলার তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, পারিবারিক কলহ এবং সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রায়শই দেখা যায়। এই ঘটনাগুলো মূলত মানসিক চাপ, সম্পর্কজনিত সমস্যা এবং সহিংস প্রবণতার ফল। এক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করা এবং পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। এটি কেবল একটি ফৌজদারি মামলা নয়, বরং সামাজিক অবক্ষয়ের একটি প্রতিচ্ছবি।
আপনার মতামত লিখুন: