জুলাই ২১, ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
সুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ম্যাচের ১৪ মিনিটে সিনহা জাহান শিখার গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। এরপর ৩৬ মিনিটে মোসাম্মাৎ সাগরিকা গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। সাগরিকা, যিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন, এই ম্যাচেও তার দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রাখেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয়তা বাড়ে যখন নেপালের ডিফেন্ডার সিমরান এবং বাংলাদেশের সাগরিকা হাতাহাতিতে জড়িয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। এর ফলে সাগরিকা তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই গোল করলেও, এই ম্যাচে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়।
মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, নেপাল দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমানো হয় এবং ৮৬ মিনিটে মিনা দেউবার গোলে নেপাল ২-২ সমতা ফেরায়। এই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল ম্যাচটি ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে, যা নেপালের শিরোপা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। কিন্তু যোগ করা সময়ের ১২ মিনিটে শ্রী মতি তৃষ্ণা রানী গোল করে বাংলাদেশকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান, যা শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোল হিসেবে প্রমাণিত হয়।
এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচ শেষে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে এবং অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা ঘরে তুলেছে। এর আগে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে এবং ভুটানকে ৪-১ ও ৩-০ গোলে পরাজিত করে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের আক্রমণাত্মক ফুটবল এবং দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে, যা তাদের এই সাফল্যের মূল কারণ।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই জয় বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য একটি বড় মাইলফলক। এটি কেবল একটি শিরোপা জয় নয়, বরং তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং অনুপ্রেরণা যোগাবে। এই ধরনের টুর্নামেন্ট নারী ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ করে দেয় এবং ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্যের পথ খুলে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন: