জুলাই ২১, ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
ঢাকা, ২১ জুলাই ২০২৪: রাজধানীর উত্তরায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের দেখতে আজ (সোমবার, ২১ জুলাই) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর আহতদের প্রতি সংহতি জানাতে তিনি উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে যখন শোকের মাতম, তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে হতাহতদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে।
আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের ওপর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন বলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে। দগ্ধ আহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী, যাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, এই আকস্মিক দুর্ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
ডা. শফিকুর রহমান আহতদের দেখতে উত্তরা আধুনিক মেডিকে কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, "উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্ঘটনাকবলিত ছাত্রছাত্রীদের দেখতে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে সেখানে কেউ কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করেনি।" তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে রোগীদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। জামায়াত আমির আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই ধরনের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোটা অত্যন্ত জরুরি। ডা. শফিকুর রহমান তার স্ট্যাটাসে যেকোনো বিভ্রান্তিকর খবর না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন, যা এই সংবেদনশীল সময়ে গুজব প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ডা. শফিকুর রহমান এক শোক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির এবং অনেক শিক্ষার্থী শাহাদাতবরণ করেছেন। তিনি নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য দোয়া করেন। জামায়াত আমির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি এবং এলাকাবাসীকে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ ও আহতদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহায়তার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন: