সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কোম্পানি থেকে নেওয়া ব্যালট ব্যবহার করে প্রশাসন কারচুপির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মাওলানা ভাসানী হলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভিপি প্রার্থী শেখ সাদি হাসান বলেন, “নির্বাচন কমিশনার জামায়াতে ইসলামীর কোনো এক অখ্যাত কোম্পানি থেকে ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন সরবরাহ করেছে।” তিনি আরও বলেন, “ছাত্রশিবিরকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ভোট গণনায় কারচুপির বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার পরিবর্তে ম্যানুয়ালি ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু একই কোম্পানির ব্যালট পেপার দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
শেখ সাদি হাসান বলেন, “আমরা মনে করছি, ছাত্রশিবির তাদের কোম্পানি থেকে আলাদা করে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হওয়ার জন্য নীলনকশা করছে।” তিনি অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে নতুন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবি জানালেও কমিশন তা মানেনি।
তিনি নির্বাচন কমিশনের এমন পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এবং ছাত্রশিবিরের নীলনকশা বাস্তবায়নে অপচেষ্টা চালাবে না। তিনি আরও জানান, তারা খবর পেয়েছেন যে জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসের আশেপাশে অবস্থান করছে, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের বিপরীতে ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করছে।
নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৫০০ পুলিশ, সাত প্ল্যাটুন বিজিবি এবং পাঁচ প্ল্যাটুন আনসার মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান করছে।