সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেছেন, নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
হাসান আল মামুন বলেন, “সেনাবাহিনী ও পুলিশের কতিপয় সদস্যের জড়িত থাকার যে দৃশ্য সারাদেশের মানুষ মিডিয়ায় দেখেছে, সেই হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরেও গ্রেফতার হয়নি।” তিনি সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলেও তার কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, সরকারের এই টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সরকার কি সেনাবাহিনীকে ভয় পাচ্ছে, নাকি অন্য কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে এখানে?”
আল মামুন বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। একইসঙ্গে তিনি তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানান।
সেনাপ্রধানের বক্তব্য প্রসঙ্গে হাসান আল মামুন বলেন, “সেনাপ্রধান নিজেই বলেছিলেন তিনি আওয়ামী লীগকে পুনরায় ‘রিফাইন’ করতে চান। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি হওয়ায় নুরের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, এরপর আবারও জাতীয় পার্টির মাধ্যমে ‘রিফাইন’ আওয়ামী লীগের চেষ্টা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নুরুল হক নুর গত ১৪ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। সরকার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন, “যদি সরকার এ বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমাদের নেতাকর্মীরা নিজেরাই নুরের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।” ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসায় তারা সন্তুষ্ট হলেও, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশে নেওয়া জরুরি বলে তিনি মনে করেন।