সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। যদিও তিনি বিজয়ী হতে পারেননি, তবু তিনি পরবর্তী ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন।
আবিদ তার পোস্টে লেখেন, 'সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসব, ইনশাআল্লাহ। এর প্রতিফলন আপনারা পরবর্তী ডাকসুতে দেখতে পাবেন। আবিদ আপনাদের কখনো ছেড়ে যাবে না।' তিনি তার জীবন চলার পথের কথা উল্লেখ করে বলেন, নিজেকে কোথায় দেখতে চান তা তিনি কখনো জানতেন না, শুধু একের পর এক আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে রাজপথে সঁপে দিয়েছেন।
নির্বাচনের দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি মিডিয়ার অপপ্রচার এবং ভোট গণনায় বিভিন্ন সমস্যার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, 'এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও যথাযথ সিদ্ধান্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসবে বলে এখনো আশা রাখি।' তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন যে, মাত্র ২০ দিনের প্রচারে সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন এবং তার যাত্রা এখানেই শেষ নয়।'
আবিদ বলেন, 'আমি এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন ছাত্রনেতা। কথা দিচ্ছি, আমার নির্বাচনী ইশতেহারে যা কিছু ছিল, তা একজন ছাত্রনেতা হিসেবেই প্রশাসনের কাছ থেকে আদায় করে নিতে যা যা করা দরকার তা আমি করবো।' তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির নতুন শুরুটা আমাদের হাত ধরেই হবে। আমরা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রাজপথ পাহারা দেব। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো।'
পোস্টটি তিনি মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের একটি উক্তি দিয়ে শেষ করেন: 'আমাদের সীমিত হতাশাকে মেনে নিতে হবে, কিন্তু অসীম আশাকে কখনো হারাতে নেই।' এর আগে তিনি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে এটিকে 'পরিকল্পিত কারচুপির প্রহসন' হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।