বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২

সাঘাটায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

মোস্তাফিজুর রহমান

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৬:১০ পিএম

সাঘাটায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

ছবি-দিনাজপুর টিভি

বর্তমান সময়ে পরিবেশ রক্ষা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের পৃথিবী এক কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় গাছ লাগানো এখন কেবল একটি ভালো কাজ নয়, বরং সময়ের দাবি। এই বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় শুরু হয়েছে এক ব্যতিক্রমী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।

"গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান ও সদকায়ে জারিয়াহর পথ চালু রাখুন" স্লোগানকে সামনে রেখে ইয়ুথ ফাউন্ডেশন সাঘাটা এবং সানাউল্লাহ আমিনা বেগম জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন এই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসার প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, একটি সুস্থ পরিবেশের জন্য বেশি করে গাছ লাগানো অপরিহার্য। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।

এছাড়া, গাছ লাগানো একটি চলমান সাদকা (সদকায়ে জারিয়াহ), যা মৃত্যুর পরেও মানুষকে উপকৃত করবে। এই ধরনের উদ্যোগ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত মানুষকে উপকৃত করবে এবং একটি টেকসই সমাজ গঠনে সহায়তা করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের পরিচালক খালেদ হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন আব্দুল মমিন, সুমন, হিটলার মির্জা, আজিজ, আলিফ, শুভ, শাওন-সহ আরো অনেকে। তাদের উপস্থিতি এই কর্মসূচির প্রতি তরুণ সমাজের আগ্রহ এবং অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ২৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রাঙ্গণে ৬টি করে ফলের গাছ রোপণ করা হবে।

এই ফলের গাছগুলো কেবল পরিবেশ রক্ষাই করবে না, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসা এবং যত্ন নেওয়ার আগ্রহ তৈরি করবে। এটি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ, যা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ এবং সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি একটি সামাজিক আন্দোলন। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, একটি সুস্থ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সবারই কিছু দায়িত্ব রয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগগুলো আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়া উচিত।