শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

ওসিএইচএ কর্মীরা হামাস সংশ্লিষ্ট?

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৫, ১১:৫৩ এএম

ওসিএইচএ কর্মীরা হামাস সংশ্লিষ্ট?

ছবি- সংগৃহীত

গাজায় চলমান যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ইসরায়েলের জাতিসংঘ দূত ড্যানি ড্যানন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ)-এর কর্মীদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনেছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওসিএইচএ-এর কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তাদের কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার ইসরায়েলের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানিয়েছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ)-এর কর্মীদের বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। শুক্রবার রয়টার্সের হাতে আসা একটি চিঠিতে এই তথ্য জানা গেছে।

গত বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে ইসরায়েলের জাতিসংঘ দূত ড্যানি ড্যানন দাবি করেন, ফ্লেচার এবং ওসিএইচএ আর নিরপেক্ষ অবস্থানে নেই। তিনি বলেন, “ইসরায়েল ওসিএইচএ’র অভ্যন্তরে হামাস-সংশ্লিষ্টতার সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে।” তবে তিনি সে সময় কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। একই সঙ্গে তিনি ওসিএইচএ-এর শত শত কর্মীর নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া জোরদার করার এবং তাদের ভিসার মেয়াদ এক মাসে সীমিত করার ঘোষণা দেন।

পরদিন বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে লেখা চিঠিতে ফ্লেচার জানান, এর আগে কখনো এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়নি। তিনি লিখেছেন, “এই অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর এবং আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।” তিনি আরও লেখেন, “আমি আশা করি, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে যেসব প্রমাণ পেয়েছে, তা অবিলম্বে নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবে।”

ফ্লেচার তার চিঠিতে ওসিএইচএ-এর কাজের নীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে। তিনি উল্লেখ করেন, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানে, হামাসের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের মাধ্যমেই জিম্মি মুক্তির ক্ষেত্রে সহায়তা করা সম্ভব হয়েছে।”

এই অভিযোগ ও পাল্টা দাবির ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন গাজায় মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং সেখানে সহায়তা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর ভূমিকা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ইসরায়েলের এই অভিযোগের পর ওসিএইচএ কর্মীদের কাজের ওপর চাপ বাড়বে এবং তাদের নিরাপত্তা আরও হুমকির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।