সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
সুপরিচিত ইসলামি চিন্তাবিদ ও ওয়ায়েজ ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, ইসলাম প্রচারের পথে যত বাধা-বিঘ্নই আসুক না কেন, প্রতিশোধ নয়, বরং ক্ষমা ও দয়া প্রদর্শনই হলো মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রকৃত শিক্ষা। গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি মহানবী (সা.)-এর জীবনের মর্মস্পর্শী তায়েফ সফরের ঘটনা তুলে ধরে এই মন্তব্য করেন।
ড. আজহারী তার পোস্টে তায়েফ সফরের বর্ণনা দিয়ে বলেন, মক্কায় তাওহিদ ও রিসালাতের বাণী প্রচার যখন প্রায় রুদ্ধ হয়ে আসে, তখন মহানবী (সা.) নতুন করে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে মক্কার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত তায়েফে গমন করেন। কিন্তু তায়েফবাসী তার সঙ্গে নির্মম ও নৃশংস আচরণ করে। উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা তাকে পাথর ছুঁড়ে রক্তাক্ত করে। মহানবী (সা.)-এর পবিত্র রক্তে তায়েফের ময়দান রঞ্জিত হয়। এমন অমানবিক নির্যাতনের মুখেও তিনি অটল থাকেন।
এরপর পাহাড়রক্ষী ফেরেশতা এসে যখন মহানবী (সা.)-কে বলেন, তিনি চাইলে দুই পাশের পাহাড় দিয়ে তায়েফবাসীকে ধ্বংস করে দিতে পারেন, তখন তিনি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। অমানবিক অত্যাচার, অকথ্য নির্যাতন ও বিদ্রূপের মুখেও তিনি ছিলেন অদম্য। দয়ার্দ্র কণ্ঠে তিনি আল্লাহ্র কাছে দোয়া করে বলেন, “হে আল্লাহ, আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন, কারণ তারা জানে না।” তিনি আরও বলেন, “হয়তো আল্লাহ তাদের বংশধর থেকে এমন কাউকে সৃষ্টি করে দেবেন, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে।”
ড. আজহারী তার বক্তব্যে এই ঘটনাকে অসীম ধৈর্য, অনুপম ত্যাগ এবং পর্বতপ্রমাণ দৃঢ়তার এক বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রতিশোধ নয়, ক্ষমাই হলো নবিজির (সা.) প্রকৃত শিক্ষা।