সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
দেশজুড়ে তীব্র সরকারবিরোধী ও দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সাংবিধানিক সমাধানের পথ প্রশস্ত করার জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন।বিক্ষোভের তীব্রতাপ্রধানমন্ত্রী অলির পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী কাঠমান্ডু এবং নেপালের বিভিন্ন শহরে সকাল থেকেই বিক্ষোভ চলছিল। প্রতিবাদকারীরা কালঙ্কি এলাকায় সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায়
বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ রাজনীতিকের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অলি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাসভবনও রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সদর দপ্তরও হামলার শিকার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনজন মন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন।
সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি বিবিসিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিক্ষোভে দুইজন মারা গেছেন এবং ৯০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিমান চলাচল ব্যাহত
দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভের কারণে নেপালের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জ্ঞানেন্দ্র ভুল বিবিসিকে বলেন, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, কারণ রাজধানীর বাইরের বিমানবন্দরগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না।
এছাড়াও, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের দক্ষিণ রুটে তীব্র ধোঁয়ার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় পাঁচটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই নেপালজুড়ে বিক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।