জুলাই ২১, ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানটি বেলা ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। দেড়টার কিছু সময় পর এটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি সরাসরি মাইলস্টোন স্কুলের 'হায়দার হল' নামের ভবনটিতে আঘাত হানে এবং এর পরপরই ভবনটিতে আগুন ধরে যায়।
মাঠ পর্যায়ের তথ্যানুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় আশপাশে হতাহত অনেকের দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্সে করে অনেককে আশপাশের হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। মাইলস্টোন কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হাবিবুর যুগান্তরকে জানান, তিনি ক্লাস শেষ করে বের হওয়ার সময় ক্যান্টিনের সামনে বিকট শব্দে আগুন ধরে যেতে দেখেন। এই বিবরণগুলো দুর্ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে যেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্লাস করে, সেখানে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই দুর্ঘটনা দেশের বিমান নিরাপত্তার নীতিমালা এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ওপর দিয়ে সামরিক বিমান প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন তৈরি করেছে। এই ধরনের ঘটনাগুলো মানসিক চাপ এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে, যা শিশুদের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।
বিভিন্ন সূত্রমতে, এই ঘটনায় বেশ উদ্বিগ্ন হয়েছেন ইসলামি আলোচক ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। সোমবার দুপুর ৩টার দিকে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে আহমাদুল্লাহ লেখেন, "উত্তরার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করছি, তিনি সবাইকে হেফাজতে রাখুন।" তার এই পোস্ট সমাজের বৃহত্তর অংশের উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে। বর্তমানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং আহতদের চিকিৎসায় ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন: