জুলাই ২১, ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই দুঃখজনক দুর্ঘটনার বিষয়ে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। বার্তায় বলা হয়, "রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ।" এই মন্তব্য দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে ঘটনার গুরুত্ব ও গভীরতা নির্দেশ করে।
মাঠ পর্যায়ের তথ্যানুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজন নিহত এবং ২৭ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বিমানটি যখন ভবনটিতে আঘাত হানে, তখন সেখানে স্কুলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, প্রধান উপদেষ্টা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন। তার এই নির্দেশ প্রমাণ করে যে, সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করা হবে বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
বিভিন্ন সূত্রমতে, এই ধরনের দুর্ঘটনাগুলো বিমান নিরাপত্তার মান এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার উপর দিয়ে সামরিক বিমান প্রশিক্ষণের রুটিন নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করে। এটি জাতীয় পর্যায়ে একটি সংবেদনশীল বিষয়, যা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কঠোর নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। প্রধান উপদেষ্টার শোক ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ অবশ্যই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং জনসাধারণের উদ্বেগ কমাতে সহায়ক হবে।
আপনার মতামত লিখুন: