জুলাই ২১, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যখন গোটা দেশ শোকাহত, তখন এই মর্মস্পর্শী ঘটনায় নিহত ও আহতদের জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি। এই মানবিক আবেদন সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, যা একটি জাতীয় দুর্যোগে ধর্মীয় নেতাদের জনসম্পৃক্ততা এবং সমাজের সংবেদনশীলতাকে তুলে ধরছে। আমাদের গভীর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই ধরনের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের প্রভাব কিভাবে দ্রুত জনমতকে প্রভাবিত করে।
সোমবার (২১ জুলাই, ২০২৫) বিকেলে সংঘটিত এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনার পরপরই শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে পোস্ট করেন। তাদের এই বার্তাগুলো কেবল সহমর্মিতাই প্রকাশ করেনি, বরং লাখো মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে গেছে এবং অসংখ্য মানুষকে দোয়ায় অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করেছে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, "উত্তরার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করছি, তিনি সবাইকে হেফাজতে রাখুন।" অন্যদিকে, মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলেছেন, "হে আরশের মালিক! উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের উপর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের দুর্ঘটনায় আহত, অগ্নিদগ্ধ সবার প্রতি আপনি রহম করুন।"
এই দুটি পোস্টই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার হাজার শেয়ার এবং মন্তব্যের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেখায় কিভাবে ধর্মীয় নেতারা দুর্যোগের সময় মানুষের কাছে আশার বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে প্রার্থনার আহ্বান জানাতে পারেন। এটি প্রমাণ করে, সোশ্যাল মিডিয়া কেবল তথ্যের আদান-প্রদানের মাধ্যম নয়, বরং মানবিক সংহতি প্রকাশেরও একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন কলেজের মেইন ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
বিকেল নাগাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল নিশ্চিত করেন, এই দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বিমান বিধ্বস্তের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে, পরে আরও দুটি ইউনিট যোগ দেয়। উদ্ধার তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) ২ প্লাটুন সদস্যও যুক্ত হন। দুপুর ১টা ২২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান শুরু করে। বর্তমানে উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর ও পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ইউনিটগুলো যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
।
আপনার মতামত লিখুন: