জুলাই ২১, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
ঘটনার পরপরই উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আহতদের নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আহতদের বেশিরভাগই দগ্ধ এবং তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান নিশ্চিত করেছেন, এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তি তাদের হাসপাতালে এসেছেন, যার মধ্যে একজন মৃত। দগ্ধদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী এবং তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের সামনে এক হৃদয়বিদারক চিত্র। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন এবং রক্তের জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। একজন স্বেচ্ছাসেবক সিফাত গণমাধ্যমকে জানান, "আমাদের এখানে (উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে) ও নেগেটিভ ব্লাড লাগবে। অন্যান্য গ্রুপের ব্লাড পাওয়া গেছে। ও নেগেটিভ পাওয়া যাচ্ছে না।" এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন 'ও নেগেটিভ' রক্তের, যা জোগাড় করতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে।
বিমান বাহিনীর 'এফ-৭ বিজেআই' প্রশিক্ষণ বিমানটি সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই এতে আগুন ধরে যায়। অনেক দূর থেকেও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, তাদের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে এবং অর্ধশতাধিক আহত ও দগ্ধকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি এবং বৈমানিকের বিষয়েও কোনো তথ্য এখনো দেয়নি আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর)।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনায় প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে বিরল রক্তের গ্রুপগুলোর সংকট প্রায়শই দেখা যায়। রক্তদাতাদের এগিয়ে আসার জন্য জোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে আহতদের জীবন বাঁচাতে প্রতিটি ফোঁটা রক্ত অত্যন্ত মূল্যবান। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান এখনও চলমান রয়েছে এবং হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন: