শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

বিমান দুর্ঘটনায় ৫ মরদেহের পরিচয় ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

বিমান দুর্ঘটনায় ৫ মরদেহের পরিচয় ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত

বিপর্যয় বা দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্তকরণ একটি জটিল ও সংবেদনশীল প্রক্রিয়া। বিশেষ করে যখন মরদেহ পুড়ে যায় বা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে প্রচলিত পদ্ধতিতে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না, তখন ডিএনএ পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু ভুক্তভোগীদের পরিচয় নিশ্চিত করে না, বরং শোকাহত পরিবারগুলোকে একটি চূড়ান্ত পরিণতির মুখোমুখি হতে এবং প্রয়োজনীয় শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে সহায়তা করে। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এমনই এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে।

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া পাঁচ মরদেহের পরিচয় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে সফলভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করেছে। এর আগে, সিআইডি এসব মরদেহের বিপরীতে ১১ জন দাবিদারের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছিল।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।

এর আগে, সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) শম্পা ইয়াসমিন জানিয়েছিলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) থাকা পাঁচ মরদেহ বা দেহাবশেষ থেকে মোট ১১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে সিআইডিতে এসে এখন পর্যন্ত ১১ জন দাবিদার তাদের রক্তের নমুনা দিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্যও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যারা নিখোঁজদের আত্মীয় বলে দাবি করেছিলেন।

উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের মালিবাগে সিআইডি ভবনে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য নমুনা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। গত বুধবার (২৩ জুলাই) একটি সরকারি তথ্য বিবরণীতে এই অনুরোধ করা হয়, যাতে দ্রুততম সময়ে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। ডিএনএ টেস্টের ফলাফলের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারলো।