রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

‘টয়লেট’ নিয়ে ইনুর অভিযোগের যে জবাব দিলেন বিচারক

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম

‘টয়লেট’ নিয়ে ইনুর অভিযোগের যে জবাব দিলেন বিচারক

ছবি- সংগৃহীত

দেশের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা এবং আদালতের কার্যক্রম এখন জনমনে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করছে। সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তার গ্রেফতার দেখানোর প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে আদালতে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে বিচারকের সঙ্গে তার এবং তার আইনজীবীর কথোপকথন রাজনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থার মধ্যেকার সম্পর্ককে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

 

শুনানির একপর্যায়ে ইনুর আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম আদালতের হাজতখানার নিরাপত্তা এবং টয়লেটের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “হাজতখানায় উন্নত টয়লেটের ব্যবস্থা নেই, এগুলো উন্নত করা প্রয়োজন।”

এ অভিযোগের জবাবে বিচারক ইনুর উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন আদালতের কোনো উন্নয়ন করে যাননি। আমলাতান্ত্রিক ও সরকারের কাজকে আপনারা আরও জটিল করেছেন। ক্ষমতায় থেকেও ডিজিটাল সিস্টেম করে যাননি। এটা করলে আপনাদের আদালতে আসা লাগতো না। কারাগারে রেখে বিচার করতে পারতাম।”

বিচারকের এই কথায় ইনু বলেন, “আদালতে জেল-ফাঁসি যাই দেন সমস্যা নেই। কিন্তু দুদক বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল করেছে। এর থেকে পরিত্রাণ চাই।” জবাবে বিচারক বলেন, “অভিযোগ আসলে মিডিয়া তা প্রকাশ করবেই।” এরপর আদালত ইনুকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ দুদক বাদী হয়ে ইনুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। এছাড়া তার চারটি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। গত বছরের ২৬ আগস্ট তাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।