জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর আর্থিক দুর্নীতির ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে একটি বড় আলোচনার বিষয়। বিশেষ করে যখন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন, তখন তা জনগণের আস্থায় চিড় ধরায়। জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে আনা ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এবং তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এই বিতর্কেরই অংশ। এটি দেশের অর্থনীতি ও বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৭ জুলাই) দুপুর দেড়টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুই দিনের রিমান্ডের আজ ছিল প্রথম দিন।
গত ২৩ জুলাই দুদকের তিন দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। এর আগে, গত ১০ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি এননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা ব্যাংক থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ঋণের অর্থ মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অধ্যাপক আবুল বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন এননটেক্স গ্রুপকে প্রায় ৩ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এই বিশাল অংকের ঋণ নিয়েই মূলত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন: