রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদসহ ৪ জনের ৭ দিনের রিমান্ড

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদসহ ৪ জনের ৭ দিনের রিমান্ড

ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে, যা জনসাধারণের মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো অপরাধের অভিযোগ উঠলে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার ঘটনাটি সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রশ্ন তৈরি করেছে এবং বিচার ব্যবস্থার কঠোরতাকে আবারও সামনে এনেছে।

সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান রোববার (২৭ জুলাই) শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া অন্যরা হলেন- সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং মো. ইব্রাহিম হোসেন।

 

 

এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত চারজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার সকালে সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রিয়াদসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে বাদী সিদ্দিক আবু জাফর নগদ ১০ লাখ টাকা দেন।

পরে গত ১৯ ও ২৬ জুলাই আসামিরা আবার এসে বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন। ২৬ জুলাই বিকেলে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে। তবে কাজী গৌরব অপু নামে এক আসামি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।