জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অঞ্চলে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা কখনো কখনো দুই দেশের মানুষকে এক করে দেয়। কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদে একটি ভেলায় ভেসে আসা ভারতীয় শিশুর লাশ তেমনই একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনাটি শুধু সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে নয়, বরং দেশজুড়ে এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন এবং জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও শোকের জন্ম দিয়েছে।
ভারত থেকে কলা গাছের ভেলায় ভাসতে ভাসতে এক শিশুর লাশ বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার দুধকুমার নদে এসে পৌঁছেছে। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের গারুহারা ঘাটে স্থানীয়রা ভেলাটি ভাসতে দেখে। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৬ বছর বয়সী শিশুটির মরদেহ একটি কলা গাছের ভেলায় চাটাইয়ের ওপর রাখা ছিল। মরদেহটি চাদর, মশারি এবং পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। শুধু তার মুখটি দেখা যাচ্ছিল। ভেলায় একটি চিরকুটে শিশুটির নাম-ঠিকানা ও একটি ফোন নম্বর লেখা ছিল। চিরকুট অনুযায়ী, শিশুটির নাম সুমীত দাস, তার বাবার নাম আকুমনি দাস এবং মায়ের নাম পদ্মা দাস। ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা ছিল ভারতের ডেকাবঘাট লালবাড়ি, আসাম।
গারুহারা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী ফারুক খান জানান, ভেলায় থাকা ভারতীয় ফোন নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে অপর প্রান্ত থেকে সাড়া পাওয়া যায়। অনকু দাস নামে এক ব্যক্তি নিজেকে শিশুটির মামা পরিচয় দিয়ে জানান, গত ১০ জুলাই সাপের কামড়ে শিশুটি মারা গেলে তাকে কলা গাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, “শুনেছি শিশুটি সাপের কামড়ে মারা গেছে। তার স্বজনরা তাকে ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছে। তবে ভেলাটি কেউ আটকায়নি। দুপুরের পর জানতে পেরেছি ভেলাটি ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল।”
পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি জানার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
আপনার মতামত লিখুন: