সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তিনি এই ষড়যন্ত্রে দুইজন বিএনপিপন্থি শিক্ষক ইন্ধন দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাকসু নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তার প্যানেলের অন্য প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, "নির্বাচন বানচালের ইন্ধন দিচ্ছেন বিএনপিপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার।
" তিনি বলেন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম একজন হলের প্রাধ্যক্ষ হয়েও অন্য একটি ছাত্রী হলে ঢুকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেন, যার ফলে নির্বাচন কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত হয়। তিনি ছাত্রদলকে ব্যবহার করে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, সকালে একজন শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে মারা যান, যিনি গতকাল দায়িত্ব পালন করেননি। কিন্তু নজরুল ইসলামের গ্রুপ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, "গতকাল বিকেল পাঁচটায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণের এক দিন পার হলেও ভোট গণনা এখনো শুরুই হয়নি।" তিনি বলেন, "এখানে সুস্পষ্টভাবে আমরা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা ভোটের আগের দিন থেকে প্রশাসনকে বলে আসছিলাম যে কোথায় ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেগুলোর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেন। আমরা একটি ফেয়ার নির্বাচন চাই।"
জামায়াতপন্থী প্রতিষ্ঠান থেকে ওএমআর আনা হয়েছে—এমন অভিযোগকে মিথ্যা উল্লেখ করে মাজহারুল ইসলাম বলেন, "ছাত্রদল ও বাগছাস সেই প্রতিষ্ঠানটিকে জামায়াত ট্যাগ দিয়ে বাতিলের চেষ্টা করেছে। পরে আমরা দেখেছি, সেটি জামায়াতপন্থী নয়, বরং বিএনপিপন্থী ছিল।" তিনি বলেন, ওএমআরে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ার কারণে ভোট গণনাকারীদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, "ওএমআরের মতো ঠুনকো অজুহাতে ছাত্রদল নির্বাচন বানচাল করতে চায়।"