গাজীপুরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ সেই মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার

নৌকাডুবির মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রায়ই বাংলাদেশে ঘটে থাকে, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক এই ঘটনাটি আবারও নৌপথে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেছে। পিকনিকে যাওয়া কয়েকজন বন্ধুর নৌকাডুবির ফলে তিন তরুণের অকাল মৃত্যু শুধু তাদের পরিবারেই নয়, স্থানীয় সমাজেও শোকের ছায়া ফেলেছে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মকশবিলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। রোববার (২৭ জুলাই) সকালে উদ্ধার করা হয় মেহেদী হাসানের মরদেহ।

সন্ত্রাসী সংগঠন এমকেও’র ২ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড দিল ইরান

বিস্তারিত পড়ুন

গাজামুখী ব্রিটিশ ত্রাণবাহী জাহাজ ছিনতাই করল ইসরাইল

বিস্তারিত পড়ুন

এর আগে, শনিবার (২৬ জুলাই) ফায়ার সার্ভিস নিখোঁজ অন্য দুই বন্ধু রফিকুল ইসলাম ও শিমুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত তিনজন হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান, একই এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে শিমুল হোসেন এবং সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হালিম মিয়ার ছেলে রফিকুল (১৮)।

এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে পাঁচ বন্ধু পিকনিকের নৌকা নিয়ে মকশবিলে ঘুরতে যান। এ সময় তীব্র বাতাসে তাদের বহনকারী নৌকা উল্টে গেলে তিনজন পানিতে তলিয়ে যায়। দুজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও রফিকুল, মেহেদী ও শিমুল নিখোঁজ হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। প্রথমে শনিবার সকালে রফিকুল ইসলামের মরদেহ, এরপর সন্ধ্যায় শিমুল হোসেনের মরদেহ এবং সবশেষ রোববার সকালে মেহেদী হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইফতেখার রায়হান চৌধুরী বলেন, “শুক্রবার বিকেলে মকশবিলে নৌকা উল্টে নিখোঁজ তিন স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধারে আমরা তিন দিন ধরে অভিযান চালিয়েছি। রোববার সকালে সবশেষ নিখোঁজ মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে রফিকুল ইসলাম ও শিমুল হোসেন নামে অপর দুই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”