মোঃ মোমিনুল ইসলাম
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
ছবি-দিনাজপুর টিভি
দিনাজপুরে এ বছর কলার বাম্পার ফলন হয়েছে, আর তাতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। ভালো ফলন এবং ভালো দামের কারণে প্রতিদিন কোটি টাকার বেচাকেনা হচ্ছে এই জেলায়।
জেলার ১৩টি উপজেলাতেই কমবেশি কলার চাষ হয়। এর মধ্যে দিনাজপুর সদর, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, কাহারোল ও বিরল উপজেলায় চাষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, যা প্রায় ৬৫-৭০ শতাংশ। শ্রাবণ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত তিন মাস ধরে গাছ থেকে কলা কাটা হয়। এই সময়ে কাহারোল উপজেলার দশমাইল মোড়ে বসে উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম কলার হাট। এখানে নীলফামারী, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও থেকেও চাষিরা কলা নিয়ে আসেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দিনাজপুরে এক হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০০ হেক্টর বেশি। ১৩৩৭ হেক্টর থেকে উৎপাদিত কলার বাজারমূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
দশমাইল হাটের ইজারাদার জানান, মৌসুম চলাকালীন প্রতিদিন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার কলা বিক্রি হয় এবং ১৬ থেকে ২০টি ট্রাকে লোড চলে। তবে আরেক চাষি সাজ্জাদ হোসেন শিহাব দাবি করেন, প্রতিদিন কোটি টাকারও বেশি কলা বেচা হয় এই হাটে। তিনি আরও জানান, রাস্তাঘাট পাকা হওয়ায় সরাসরি বাগান থেকে ট্রাকে করে কলা পাঠানো যাচ্ছে।
কাহারোলের কলাচাষি আব্দুল মালেক বলেন, তিনি ৪৮ শতক জমিতে চাষ করা কলা ৬২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আরেক চাষি রাজিব জানান, সাড়ে চার বিঘা জমির কলা প্রতি কাঁদি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের বিক্রেতা সানোয়ার হোসেন বলেন, "এই হাটে কোনো ধরনের ফরমালিন ব্যবহার হয় না। এ কারণে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে পাইকাররা এখানে আসেন।"
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, "কলার চাষ ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, কারণ এতে কৃষকরা খুব লাভবান হচ্ছেন।"