শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

সংসদে সংরক্ষিত আসন বাড়িয়ে ১৫০ করার দাবি নারী নেত্রীদের

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ১০:১১ এএম

সংসদে সংরক্ষিত আসন বাড়িয়ে ১৫০ করার দাবি নারী নেত্রীদের

ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় সংসদে নারীদের কার্যকর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি থেকে বাড়িয়ে ১৫০টি করার দাবি জানিয়েছেন দেশের নারী নেত্রীরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এই দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা প্রস্তাবিত এই আসনগুলোতে রাজনৈতিক দলের মনোনয়নের পরিবর্তে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন চালুরও আহ্বান জানিয়েছেন।

আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এই বৈঠকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমানে ৫০টি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। এতে নারীরা কেবল দলীয় প্রার্থী হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকেন এবং তাদের কার্যকর ভূমিকা রাখার সুযোগ কমে যায়।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ আসনের পাশাপাশি সংরক্ষিত আসনের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়া উচিত। এই প্রস্তাবনার মূল উদ্দেশ্য হলো, নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে আরও অর্থবহ ও জবাবদিহিমূলক করা।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই প্রস্তাবনার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে নিজেরা করি-র সমন্বয়ক খুশি কবির বলেন, দেশের জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীদের আরও বেশি যুক্ত করতে হলে সংসদে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করা অপরিহার্য। তিনি মনে করেন, যদি এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য সরাসরি নির্বাচিত হন, তাহলে নারীর অধিকার এবং মানবাধিকার রক্ষা আরও শক্তিশালী হবে। বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উঠে আসে। এর মধ্যে রয়েছে:

১. সংসদে আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি: বর্তমান ৩০০টি আসনের পাশাপাশি সংরক্ষিত নারী আসন বাড়িয়ে মোট আসন ৪৫০টি করা, যেখানে ৩০০টি সাধারণ আসন এবং ১৫০টি সংরক্ষিত আসন থাকবে।

২. সরাসরি নির্বাচন: দুটি সাধারণ আসন মিলিয়ে একটি সংরক্ষিত নারী আসন নির্ধারণ করে নারীদের সরাসরি জনভোটে নির্বাচিত করা। ৩. সময়সীমা নির্ধারণ: এই ব্যবস্থা সর্বোচ্চ দুই বা তিন মেয়াদ পর্যন্ত চালু রাখা, যাতে নারীরা নিজেদের নির্বাচনী এলাকা তৈরি করার সুযোগ পান।

এই গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ অনেকেই এই আলোচনায় অংশ নেন। তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, এই ইস্যুটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।