জামায়াত আমিরকে চ্যালেঞ্জ জানালেন ফজলুর রহমান

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ স্থগিত হওয়া সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর আমিরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আপনার বাড়ি সিলেটে। সেখানে ১৯টি আসন আছে। আপনি কোন আসনে দাঁড়াবেন বলেন। আমি আমার দল থেকে সেই আসনে দাঁড়াব। ১৯টির মধ্যে একটা আসনেও যদি পাশ করতে পারেন, তাহলে ভাববো আপনারা বাপের বেটা।”বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের নিজ নির্বাচনি এলাকা হাওর মিঠামইনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত এক গণসংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্যে ফজলুর রহমান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ হলো, দেশ স্বাধীন হলো, কিন্তু জামায়াত বলে এটা ছিল ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব, আর এই দ্বন্দ্ব ভারত লাগিয়েছিল।” তিনি বলেন, তিনি আমরণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলে যাবেন এবং এ বিষয়ে কোনো আপস করবেন না। তিনি জামায়াতের বিরুদ্ধে তার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, যখন দেখেন মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা হচ্ছে এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত বৃথা যাচ্ছে, তখন তিনি প্রতিবাদ করেছেন।

ডাকসু নির্বাচনে বাম ও ভারতপন্থীদের কবর রচিত: ফয়জুল করীম

বিস্তারিত পড়ুন

ফজলুর রহমান আরও বলেন, “আমি ধর্ম বিদ্বেষী নই, জামায়াত বিদ্বেষী। আমি ধর্ম-কর্মে বিশ্বাসী একজন মুসলমান। তবে, জামায়াতে ইসলাম ইসলাম নয়, তারা জামা-কাপড়ে ইসলাম।” তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তার দলের কাছে এই প্রতীকটি চেয়েছেন।

তিনি বলেন, দল তাকে তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিলেও তিনি তা মাথা পেতে নিয়েছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে অনুরোধ করেন, তারা যেন দলের কাছে দুটি জিনিস চায়—একটি হলো ফজলুর রহমান, আরেকটি হলো ধানের শীষ মার্কা।

শিবিরের ডাকসু বিজয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাতের ফল: মির্জা আব্বাস

বিস্তারিত পড়ুন

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে ফজলুর রহমান বলেন, “আমাকে পাগল উপাধি দিয়ে রাজাকারেরা বাঁচতে চায়। শুধু আল বদর ও রাজাকারের বাচ্চারা ছাড়া আমাকে কেউ পাগল বলে না।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহীম। এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা এবং কয়েক হাজার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।