সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি আমূল পরিবর্তনের সূচনা করবে। জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তবে একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে, তেমনি নৈতিক পরিবর্তনও আসবে এবং দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি সবসময় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে দলটিকে নিশ্চিহ্ন করার, কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতো দলটি প্রতিবারই জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে জেগে উঠেছে। গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম চলছে, তাতে নির্বাসিত অবস্থায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশে একটি ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা। এই লক্ষ্যে দলের প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, প্রায় ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয় এবং ১,৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়। তিনি বলেন, “আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা সেই ভয়াবহ হাসিনা থেকে মুক্ত হতে পেরেছি; ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হতে পেরেছি।” এখনকার চ্যালেঞ্জ হলো আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করা।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রবর্তন করেন, যা দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনে। পোশাক শিল্পের সূচনা এবং বিদেশে পোশাক রপ্তানির প্রক্রিয়া তার হাত ধরেই শুরু হয়েছিল। পরবর্তীকালে বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, সাইফুল আলম নীরব, মহানগর বিএনপির উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।