বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

জাতীয় পার্টির ‘চরিত্র’ নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর, ভারতের দল কিনা শঙ্কা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০৭:০০ পিএম

জাতীয় পার্টির ‘চরিত্র’ নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর, ভারতের দল কিনা শঙ্কা

ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক ভূমিকা ও ‘চরিত্র’ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি দলটির চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে এটি বাংলাদেশের নয়, বরং ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে জিএম কাদের ভারতে গেলেন। তখন সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, ‘ওদের (ভারত) পারমিশন ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’ এই মন্তব্যকে তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘আপনি কি ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল? নাকি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল? এই আপনাদের মেরুদণ্ড? এই আপনাদের নীতি এবং আদর্শ? এই আপনাদের চরিত্র?’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে রিজভী আরও বলেন, ‘ভয়ঙ্কর রক্তপিপাসু শেখ হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে কারা রক্ষা করেছে... তার মধ্যে একটি হচ্ছে জাতীয় পার্টি।’ তিনি জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারীর একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির দায় এখন বিএনপিকে নিতে হবে। বিএনপি তো এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় নেই। তাহলে আপনি কিসের দায়’র কথা বলছেন!’

বিএনপি নেতা গুম ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার সময় জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, ‘যখন ইলিয়াস আলী গুম হয়, তখন জাতীয় পার্টি কোথায় ছিল?’ তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, যখন বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল।

গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, অনেক গণমাধ্যম এখনও শহীদ জিয়াউর রহমানের নামের আগে ‘শহীদ’ না লিখে ‘প্রয়াত’ শব্দটি ব্যবহার করে, যা দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত দেয়। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট নিয়ে বড় বড় শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করতে এত সংকোচ কেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।