সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ১০:২১ এএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশজুড়ে চলমান 'মব সংস্কৃতি'-র অবসান ঘটানোর ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি একটি আইনবহির্ভূত ও হিংসাত্মক আচরণ, যা জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এটি যেকোনো উপায়ে বন্ধ করতে হবে। বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, "দেড় যুগব্যাপী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদদের আত্মদান সার্থক হবে, যদি আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি। এটিই হোক বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভলগ্নে আমাদের অঙ্গীকার।" তিনি আরও বলেন, দেশজুড়ে যেন আর কখনোই গুম, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নারী ও শিশুদের ওপর পৈশাচিকতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, ও টাকা পাচারের মতো ঘৃণ্য বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি না হয়। জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য।
তিনি উল্লেখ করেন যে, দেশে এখনো প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আইনের শাসন, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলেই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এজন্য জনগণের নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার অতীব জরুরি। জন্মলগ্ন থেকে দলের যেসব নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং গত বছর ছাত্র-জনতার রক্তঝরা আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতিও তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তারেক রহমান লেখেন, "জাতীয়তাবাদী আদর্শের সঙ্গে জনগণকে একত্র করার লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।"
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। তিনি স্বাধীনতার মহান ঘোষক, সফল রাষ্ট্রনায়ক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, নানামুখী চক্রান্তের মধ্যেও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।