সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
সাবেক সচিব এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু আলম শহীদ খান মনে করেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতের পক্ষে ১০টি আসন পাওয়াও কঠিন হতে পারে। তার মতে, সরকার গঠন করা তো দূরের কথা, জামায়াত ডাবল ডিজিট স্পর্শ করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে, একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করেছেন যে, তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী হওয়ায় জনগণ তাদের ভোট দিলে তারা ভালো ফলও করতে পারে। সম্প্রতি একটি টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ খান বলেন, "আমি জানি না জনগণ কাকে ভোট দেবে। জামায়াতকে দিলে আমি একসেপ্ট করবো না, এরকম অবস্থায় আমি নেই। জামায়াতকে যদি ভোট দেয়, জামায়াত যদি সরকার গঠন করতে পারে, খুব ভালো কথা। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে জামায়াতের সরকার গঠন তো দূরের কথা, ১০ সিট অর্থাৎ ডাবল ডিজিট স্পর্শ করতে পারবে কিনা এটা আমার সন্দেহ আছে।" তিনি বিরোধী দল হিসেবে ৫০ থেকে ৮০টি আসন পাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, ১০টি আসন পেলে একটি গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া যাবে, কিন্তু বড় বিরোধী দল হওয়া যাবে না।
জাতীয় পার্টির সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, "এখানে জাতীয় পার্টির একটা সম্ভাবনা আছে। তাদের যেহেতু একটি ভালো মার্কা আছে, লাঙ্গল মার্কা।" তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সেই সময় এরশাদ জেলে থেকেও ৩৯টি আসনে জয় লাভ করেছিলেন, যা তাদের ভালো সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।
এছাড়াও, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একটি স্বতন্ত্র অংশের বড় ভূমিকা রাখার কথা উল্লেখ করে শহীদ খান বলেন, গত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল এবং ৪০ শতাংশের বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছিল, সেইসব প্রার্থীরা অন্য দলে যোগ দিতে পারেন। এসব প্রার্থী সরাসরি আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি বা লুটপাটের সাথে জড়িত নন। তাদের মতো প্রার্থীরা অন্যান্য নতুন দলগুলোতে যোগ দিতে পারেন, যা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন।